আজ কথা বলব  Wi-Fi হ্যাকিং নিয়ে  ;আশা করি সকলের টিউনটি ভালো লাগবে। এই টিউন কিন্তু কিভাবে Wi-Fi হ্যাক করতে হয় সে বিষয়ে নয়।
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে Wi-Fi হ্যাকিং কি? কিভাবে Wi-fi হ্যাকিং করা হয়?  Wi-Fi হ্যাক করতে কম্পিউটার না স্মার্টফোন কি দরকার পরে?  এরকম অনেক প্রশ্ন আমাদের মনে ঘোরাঘোরি করে। আজ কথা হবে WPS সিস্টেম বেসড Wi-Fi হ্যাকিং নিয়ে; ৯৮% Wi-Fi এরকম ভাবেই হ্যাক হয়।

WPS এর ব্যবহার অতি জনপ্রিয়; ধরুন আমাদের বাসায় বা অফিস এ অনেক মানুষ বা মেহমান আসল; সবাইকে তো আর ১০/১১ ডিজিটের পাসওয়ার্ড বলা যাবে না; সেক্ষেত্রে আমরা যা করি তা হল রাউটার এর পেছনে থাকা WPS বাটনটি চালু করে দেই,এতে একটি নির্দিষ্ঠ সময়ের জন্য সকলের জন্য Wi-Fi উন্মুক্ত হয়ে যা
য়।
আর একটি সিস্টেম হল WPS বাটন অফ থাকলেও রাউটার এর সিস্টেম এ WPS বাই ডিফল্ট ভাবে অন থাকে; এবং এটি কাজ করে রাউটার এর পেছনে লেখা পিন দ্বারা আর যেটি সচরাচর ৮ ডিজিট এর নামেরিক (নম্বর ভিত্তিক) পিন হয়।আমাদের মনে হতে পারে ৮ ডিজিট এর পিন সিকিরিটি ভালোই আছে তবে এই ধারনাটি ভুল।
পিন টি তো ০০০০-০০০০ থেকে ৯৯৯৯-৯৯৯৯ এর ভেতরই কোন সংখ্যা, তাই নয় কি? আর সফটওয়্যার এর মাধ্যমে এটি বের করা অত্যান্ত সহজ। বর্তমানে এন্ড্রয়েড বা কম্পিউটারে যে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে Wi-Fi হ্যাক করা হয়, প্রায় সবই এই সিস্টেমেই পাসওয়ার্ড হ্যাক করে থাকে।
সুতরাং আজই আপনার Wi-Fi কে সুরক্ষিত করতে হলে আপনার Wi-Fi এর এডমিন প্যানেল এ লগিন করুন এবং WPS বাই ডিফল্টভাবে অন থাকলে তা অফ করে ফেলুন।




ই আর্টিকেলটি লিখতে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির কথা মনে পড়ে গেলো, তৎকালীন সময়ে আমি সরল করা এবং সুদকষা অংকে বেশ পারদর্শী ছিলাম। তো শ্রেণির অংক শিক্ষক আমার প্রতি মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন, “তোর মাথাটা না, পুরাই কম্পিউটার!” যদিও সেই সময় “কম্পিউটার” শব্দটি ব্যতিত এর চেয়ে বেশি কিছু আর জানতাম না, শুধু জানতাম, এদিয়ে আশ্চর্য সব কাজ করানো যায়। তবে তখন না জানলেও, এখন জানি—মানুষের ব্রেইনই আসলে সবচাইতে আশ্চর্য জিনিষ। কম্পিউটারের আমাদের মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা নেই, এই যন্ত্র হালের বলদের মতো শুধু নির্দেশ পালন করে।

কিন্তু কম্পিউটারকে যদি মানুষের মতো বুদ্ধিমান এবং চালাক তৈরি করতে চাওয়া হয়, তবে তা কিভাবে সম্ভব হবে? বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের পেছনে অনেক ছুটেছে, আর আবিষ্কার করেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ডীপ লার্নিং প্রযুক্তি। বহু দশকের সাধনার পরেও কম্পিউটারকে মানুষের মতো শিক্ষা দেওয়া অনেক কঠিনতর ব্যাপার ছিল। তবে নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মানুষের মতো মিলিয়ন আর্টিফিশিয়াল ব্রেইন সেল ব্যবহার করে কম্পিউটার একদম মানুষের ঘিলুর হুবহু কাজ করতে পারে। নিউরাল নেটওয়ার্ক আবার আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক নামেও পরিচিত—যা ডীপ লার্নিং এর একটি অংশ। তো আসলে এটি কি এবং কিভাবে কাজ করে? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক…

ব্রেইন ভার্সেস কম্পিউটার

আপনার কল্পনায় যতো প্রাণী আসবে, যেমন- স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, সরীসৃপ প্রাণী, মাছ, উভচর প্রাণী, ইত্যাদি সকলের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক রয়েছে। কিন্তু সকলের চাইতে মানুষের মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ আলাদা। আঁকারে খুব বড় না হলেও, এটি কথা বলতে, চিন্তা করতে, সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে এবং মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ এবং আশ্চর্যজনক অঙ্গ এটি। একটি আদর্শ মস্তিষ্কে ১০০ বিলিয়নের (তবে ৫০ বিলিয়ন থেকে ৫০০ বিলিয়ন পর্যন্ত থাকতে পারে) মতো অতিক্ষুদ্র কোষ থাকে—যাকে নিউরন বলা হয়।
প্রত্যেকটি নিউরনের কোষ দেহ থাকে এবং এর সাথে অনেক গুলো ডেনড্রাইটস (Dendrites) (কোষের ইনপুট কোষদেহ পর্যন্ত বহনকরে নিয়ে যায়) এবং একটি করে আক্সন (Axon) (কোষ থেকে তথ্যের আউটপুট বেড় করে দেয়) থাকে। নিউরন গুলো অত্যান্ত ক্ষুদ্রাকার হয়ে থাকে, প্রত্যেক মিলিমিটারে প্রায় ১০০টি করে নিউরন আটতে পারে। মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ কোষের মাত্র ১০ শতাংশ জুড়ে নিউরনের অবস্থান থাকে, বাকি কোষ গুলোকে গ্লিয়াল কোষ (Glial Cells) বা নিউরগ্লিয়া (Neuroglia) বলে, এগুলো নিউরনকে সমর্থন এবং রক্ষা করে এবং নিউরনে শক্তির সঞ্চার করে।
নিউরনঅপরদিকে কম্পিউটারে মানুষের ব্রেইন কোষের বদলে অত্যন্ত ক্ষুদ্রাকার সুইচ লাগানো থাকে, যাকে ট্র্যানজিস্টর বলা হয়। বর্তমান প্রযুক্তির সর্বাধুনিক মাইক্রো প্রসেসরে ২ বিলিয়নেরও উপর ট্র্যানজিস্টর লাগানো থাকে। সাধারন মাইক্রো প্রসেসর গুলোতে ৫০ মিলিয়নের মতো ট্র্যানজিস্টর লাগানো থাকে এবং এই সমস্ত জিনিষ গুলো একত্রে একটি সার্কিটের উপর বসানো থাকে, যা ২৫ মিলিমিটার বর্গাকার হয়ে থাকে।

তো এই হচ্ছে মানুষের ব্রেইন এবং কম্পিউটারের মূল গঠন। কম্পিউটার একটি ধাতব বাক্স আর এটি বাইনারি নাম্বারের উপর কাজ করে এবং মস্তিষ্ক হলো একটি জীবন্ত জিনিষ যা অনুভূতি এবং স্মৃতিশক্তির উপর কাজ করে—এটিই কিন্তু কম্পিউটার আর ব্রাইনের মধ্যের এক মাত্র পার্থক্য নয়। আসল পার্থক্য হলো কম্পিউটার এবং মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ আলাদা পদ্ধতিতে কাজ করে। কম্পিউটার প্রসেসরে ট্র্যানজিস্টর গুলো সহজভাবে লাগানো থাকে, প্রত্যেকটি ট্র্যানজিস্টর সাধারনত ২-৩টি ট্র্যানজিস্টরের সাথে কানেক্টেড থাকে, একে লজিক গেটস (Logic Gates) বলা হয়। কিন্তু মস্তিষ্কের মধ্যে নিউরন গুলো অত্যন্ত জটিলভাবে প্যারালেলে পরস্পরের সাথে কানেক্টেড থাকে। প্রত্যেকটি নিউরন প্রায় ১০,০০০ নিউরনের সাথে কানেক্টেড থাকে। তো কম্পিউটারের কয়েকশত মিলিয়ন ট্র্যানজিস্টর যা সহজভাবে প্যারালেলে লাগানো থাকে আর ব্রেইনে এর চেয়ে ১০-১০০ গুন বেশি কোষ যা জটিলভাবে পরস্পরের সাথে কানেক্টেড থাকে—এদের এই ভিন্ন গঠনের জন্যই কম্পিউটার এবং ব্রেইন সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে “ভাবে” এবং কাজ করে। বিশাল পরিমানে ডাটা (যা কম্পিউটারের নিজের কাছে অর্থহীন) সংরক্ষিত রাখার জন্য কম্পিউটারকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয় এবং এই ডাটাগুলোকে কম্পিউটার কিভাবে প্রসেসিং করবে তা বলে দেওয়ার জন্য কম্পিউটারে প্রোগ্রাম ইন্সটল করানো হয়।
অপরদিকে, মস্তিষ্ক কোন জিনিষ শিখতে দেরি করে, মনে রাখার জন্য বারবার চর্চা করতে হয়, এবং বিভিন্ন জিনিষ বিভিন্নভাবে শিখতে পারে, নিজেই নতুন শেখার পদ্ধতি তৈরি করে নিতে পারে—এভাবেই মানুষের কাজের মধ্যে সৃজনশীলতা দেখতে পাওয়া যায়। মানুষের মস্তিষ্ক যেকোনো প্যাটার্নকে মনে রাখতে পারে, পরে মিলাতে পারে, এবং জানা জিনিষ গুলোকে ভিন্ন নজরে দেখতে পায়।
তো কেমন হতো, যদি কম্পিউটার একদম মানুষের ঘিলুর মতো করেই কাজ করতো? আর এখানেই নিউরাল নেটওয়ার্ক চলে আসে।

নিউরাল নেটওয়ার্ক কি?

কম্পিউটারকে মানুষের ব্রেইনের মতো তৈরি করতে চাইলে সাধারন আইডিয়া অনুসারে একে ব্রেইনের হুবহু বিল্ড করা প্রয়োজনীয় হবে। অর্থাৎ এর মধ্যে অসংখ্য পরিমানে ব্রেইন সেল লাগাতে হবে যা পরস্পরের সাথে সম্পর্ক যুক্ত থাকবে—যাতে সেই কম্পিউটার দিয়ে প্যাটার্ন চেনানো যায়, কোন কিছু শেখা যায় এবং মানুষের মতো কোন বিষয়ের উপর সিধান্ত গ্রহন করতে পারে। নিউরাল নেটওয়ার্ক এর সবচাইতে মজার ব্যাপার হবে, এতে কম্পিউটারকে কোন কাজ করানোর জন্য প্রোগ্রাম তৈরি করতে হবে না, সে আপনাআপনি কাজ শিখে নেবে, ঠিক আমাদের মতো।




কিন্তু সত্যি কথা বলতে, মানুষের ব্রেইনের হুবহু কোন কম্পিউটার ডিজাইন করা সম্ভব নয়, তাই হার্ডওয়্যার নয়, বরং সফটওয়্যার ব্যবহার করে সাধারন ট্র্যানজিস্টর লাগানো কম্পিউটারকে—বিলিয়ন ব্রেইন সেল লাগানো কম্পিউটারের মতো আচরন করানোর চেষ্টা করা হয়। আমরা বর্তমানে যে কম্পিউটিং করি এবং যে প্রোগ্রাম ব্যবহার করে কাজ করি, এর আউটপুট শুধু আমাদের কাছেই মূল্য রাখে, কম্পিউটারের কাছে নয়। কম্পিউটার কখনোই জানেনা, আপনি তার সাথে কি করছেন। আপনি যে টাস্কই কম্পিউটারকে সম্পূর্ণ করতে দিন না কেন—কম্পিউটার সেগুলোকে ক্যালকুলেসন করবে, বাইনারিতে পরিবর্তন করবে, সংখ্যা গুলোকে প্রসেসিং করে বিভিন্ন প্যাটার্নে সাজাবে এবং আপনি আউটপুট দেখতে পাবেন। যেমন ধরুন ডাটা স্টোরেজের কথা, আপনি এতে মিউজিক, ভিডিও, ফটোস, আর জানি কতো কি সংরক্ষিত করে রাখেন। আপনার কাছে প্রত্যেকটি ডাটার আলাদা আলাদা মতলব রয়েছে, কিন্তু আপনার ফোন বা যেকোনো কম্পিউটিং ডিভাইজের কাছে আপনার মিউজিক, ফটো, ভিডিও গুলো ওয়ান এবং জিরো ছাড়া আর কিছুই না।
তো মূলত নিউরাল নেটওয়ার্ক হলো এমন একটি কম্পিউটিং ব্যবস্থা যা মানুষের মতো প্রত্যেকটি জিনিষ বুঝতে পারবে, তা থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে পারবে এবং ধীরেধীরে কোন ভুলত্রুটিকে শুধরিয়ে নেবে। কম্পিউটার কোন কুকুরের ফটোকে জাস্ট কোন ডাটা (1/0) হিসেবে না দেখে মানুষের মতো কুকুরের ফটো হিসেবেই দেখবে—আর এটাই হচ্ছে নিউরাল নেটওয়ার্ক। আর যেহেতু নিউরাল নেটওয়ার্কে সফটওয়্যার দ্বারা পরিচালিত করা হয়, ব্যস্তবিক ব্রেইনের মতো ডিভাইজ করা হয় না তাই এই সম্পূর্ণ প্রসেসটিকে আমরা আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্কস বা এএনএনএস (ANNs) বলবো। এটি মানুষের ব্রেইনের মতো কাজ করলেও, এটি কিন্তু ব্রেইন নয়।

নিউরাল নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে?

দেখুন এর কাজ করার পদ্ধতি বা এর অভ্যন্তরে ঘটা ব্যাপার গুলো বোঝা একটু মুশকিলের, এতে এমন অনেক টার্ম চলে আসবে যেগুলো নিয়ে আবার আলাদা আলোচনা করার প্রয়োজন পড়বে। তাই বেশি টেকনিক্যাল দিকে না দিয়ে সহজ ভাষায় এবং পর্যাপ্ত উদাহরনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিষয়টিকে বোঝার চেষ্টা করবো।
একটি আদর্শ নিউরাল নেটওয়ার্কে হাজার থেকে লাখো আর্টিফিশিয়াল নিউরন থাকতে পারে, এদের ইউনিট (Units) বলা। এই ইউনিট গুলোকে একে অপরের সাথে ক্রমনুসারে সাজানো থাকে এবং প্রত্যেকে একে অপরের সাথে কানেক্টেড থাকে ঠিক কোন নেটওয়ার্কের মতো। এদের মধ্যে কিছু ইউনিট রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের তথ্য গ্রহন করে, যেমন আমরা কোন বস্তুকে দেখি, রঙ চেনার চেষ্টা করি, আঁকার বুঝি ইত্যাদি—এই ইউনিট গুলোকে ইনপুট ইউনিট বলা হয়। এই ইউনিট গুলো নিউরাল নেটওয়ার্ক কে চিনতে, জানতে বা প্রসেস করাতে সাহায্য করে। নেটওয়ার্কের আরেক পাশে রয়েছে আউটপুট ইউনিট—যা কম্পিউটারটি ব্যস্তবিক জিনিষ থেকে ঠিক কি জ্ঞান লাভ করলো তার বহির প্রকাশ করে। এতেই কিন্তু শেষ নয়, এই ইনপুট ইউনিট এবং আউটপুট ইউনিটের মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকে হিডেন ইউনিট, যা নেটওয়ার্কটির অধিকাংশ আর্টিফিশিয়াল নিউরন দ্বারা গঠিত। তো দেখা গেলো, এতে তিন ধরনের ইউনিট থাকে, এদের গ্রুপকে লেয়ার বলা হয়। প্রত্যেকটি লেয়ারের ইউনিট গুলো প্রত্যেকটি ইউনিটের সাথে পরস্পর সম্পৃক্ত থাকে এবং একে অপরের কাছ থেকে তথ্য প্রসেসিং করিয়ে তবেই সর্বশেষ রেজাল্ট বা আউটপুট প্রদান করে। প্রত্যেকটি ইউনিটের একে অপরের সাথের কানেকশনকে একটি নাম্বার দ্বারা অঙ্কিত করানো হয়—একে ওয়েট (Weight) বলে। যদি একটি ইউনিট আরেকটি ইউনিটের তথ্যের সাথে সম্মতি প্রদান করে তবে ওয়েট পজিটিভ হয় আর সম্মতি নাকজ করে দিলে ওয়েট নেগেটিভ হয়।

এখন আসি এটি কাজ করে কিভাবে তার প্রসঙ্গে, নিউরাল নেটওয়ার্কে দুই পদ্ধতি যেকোনো ডাটা প্রবাহিত হয়। যখন কম্পিউটারটি কোন কিছু বিষয়ে শিক্ষা গ্রহন করে তখন এক ধরনের ডাটা প্রবাহিত হয় এবং শিক্ষা গ্রহন করার পরে, কম্পিউটারটি যখন অ্যাকশনে নেমে পরে তখন এক ধরনের ডাটা প্রবাহিত হয়। যখন কম্পিউটারটি কোন শিক্ষা গ্রহন করতে থাকে তখন তার শেখাকে ঠিক করতে বারবার ফিডব্যাকের প্রয়োজন পড়ে, যে সে ঠিক শিখছে না ভুল শিখছে। যেমন- টিচারের সামনে আপনি কোন বানানকে ভুল লিখলে তিনি তা শুধরিয়ে দেন, এবং আমাদেরও কিছু শেখার জন্য সবসময় ফিডব্যাকের প্রয়োজন পড়ে। মনেকরুন আপনি এয়ারগান দিয়ে বেলুন সুট করছেন। আপনি বেলুনের দিকে বন্দুকটি তাক করে সুট করলেন, কিন্তু গুলিটি একটি উপরদিয়ে চলে গেলো। এখন দ্বিতীয়বার যখন আপনি সুট করবেন তখন নিশ্চয় আগের বারের পজিশন এবং টার্গেটিং এর কথা মাথায় রাখবেন। এবার নিশ্চয় বন্দুকটি একটি নিচু করে সুট করবেন, কেনোনা আপনার মস্তিষ্ক জানে, সে আগের বারে উঁচু করে সুট করে লাগাতে পারেনি। এভাবে চেষ্টা করতে করতে বা ভুল শোধরাতে শোধরাতে আপনি সঠিক নিশানা তৈরি করতে পারবেন।
নিউরাল নেটওয়ার্কও ঠিক এমনিভাবে কোন শিক্ষা গ্রহন করে। প্রত্যেকবারে এটি ইনপুট ইউনিট থেকে তথ্য গ্রহন করে। ধরুন ইনপুট থেকে কম্পিউটারকে একটি বেড়ালের ফটো দেখানো হলো। এটি এই তথ্যগুলোকে অর্থাৎ এটি দেখতে কেমন, কি আকারের হয়ে থাকে, কোথায় চোখ আছে, কোথায় মুখ আছে ইত্যাদি তথ্য সংরক্ষিত রাখে। এখন প্রত্যেকটি বিড়াল তো আর এক রকমের হয়না, তাই নেটওয়ার্ক কে শিক্ষা দেবার জন্য অনেক বিড়ালের ফটো দেখানো প্রয়োজন পড়ে। এখন যদি আরেকটি ফটো দেখিয়ে কম্পিউটারকে বলা হয়, এটি বিড়াল না কুকুর। তবে প্রথমে এটির তথ্য ইনপুট ইউনিট গ্রহন করবে এবং তা হিডেন ইউনিটের কাছে পাঠিয়ে দেবে। হিডেন ইউনিটের কাছে আগের বিড়ালের ফটো থেকে অনেক তথ্য রয়েছে, তাই এটি ইনপুটকে বিশ্লেষণ করতে আরম্ভ করবে। ধরুন একটি ইউনিট এর নাকের আঁকার, ধরণ, রঙ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করবে যদি সেটি বিড়ালের সাথে মিলে যায় তবে সে পজিটিভ ওয়েট প্রদান করবে, আরেকটি ইউনিট হয়তো চোখ পর্যবেক্ষণ করবে আরেকটি হয়তো লেজ পর্যবেক্ষণ করবে। তো এই হিডেন ইউনিটের প্রসেসিং এবং ওয়েটের পজিটিভ বা নেগেটিভ রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে আউটপুট প্রদান করবে। যদি আউটপুট ভুল আসে তবে কম্পিউটিং সিস্টেমটিকে জানাতে হবে যে সে ভুল রেজাল্ট দিয়েছে, পরবর্তীতে কম্পিউটিং সিস্টেমটি আর সেই ভুলটি করবে না। ঠিক যেমন আমরা ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করি।
এখন মনেকরুন আপনি নিউরাল নেটওয়ার্ক কে কিছু চেয়ার এবং টেবিলের ছবি দেখিয়ে শিক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ নতুন কিছু মডেলের চেয়ার টেবিলের ছবি তার সামনে তুলে ধরলেন, যা আগে কখনো দেখানো হয় নি। এবার কম্পিউটিং সিস্টেমটি আগের দেখানো চেয়ার টেবিল গুলো থেকে ধারণা নেবে (যেমন মানুষ করে থাকে) এবং নতুন চেয়ার টেবিল গুলোকে আলাদা ভাবে ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করবে। তবে আপনি কি ধরনের শিক্ষা দিয়েছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার পূর্বের শিক্ষার সাথে তাল মিলিয়েই এটি কাজ করবে এবং প্রত্যেকবারই নতুন কিছু শিখবে।
এখন কোন মানুষকে বলা হলো, “তাহমিদ, তোমার সামনের চেয়ার টেবিল গুলোর দিকে দেখো”। এভাবে কিন্তু কোন কম্পিউটারকে বলা যাবে না, কম্পিউটারের ইনপুট অবশ্যই বাইনারিতে হতে হবে—কারন এটি যতোই মানুষের মতো কাজ করার চেষ্টা করুক না কেন, এটি মানুষ নয়। আমরা জানি, কম্পিউটারের প্রত্যেকটি ইনপুট গ্রহন করার জন্য সুইচ অন বা অফ হয় (ট্র্যানজিস্টর অন/অফ)। নিউরাল নেটওয়ার্ক আপনাকে উত্তর শুধু নেগেটিভ বা পজিটিভ ভাবে প্রদান করবে। মনেকরুন আপনি টেবিল চেয়ারের ছবি দেখিয়ে ইনপুট করলেন, ১) এটার কি পেছনের হেলান দেওয়ার জায়গা আছে? ২) এর কি উপরিতল আছে? ৩) এতে কি নরম গদি লাগানো রয়েছে? ৪) এখানে কি দীর্ঘ সময়ের জন্য আরামে বসা যাবে? ৫) এর উপর কি অনেক জিনিষ পত্র রাখা যাবে? এখন কম্পিউটার “টেবিলের ক্ষেত্রে” আপনাকে জবাব দেবে, হ্যাঁ, না, হ্যাঁ, হ্যাঁ, না বা বাইনারিতে উত্তরটি হবে 10110 এবং টেবিলের ক্ষেত্রে উত্তর দেবে না, হ্যাঁ, না, না, হ্যাঁ বা বাইনারিতে 01001। অর্থাৎ শেখার সময় এটি টেবিলকে 01001 হিসেবে দেখতে পাবে এবং চেয়ারকে 10110 হিসেবে দেখতে পাবে, এবং এটি চেয়ার না টেবিল সেটিও বুঝতে পারবে।

শেষ কথা

নিউরাল নেটওয়ার্কে আশানুরূপ উন্নতিকরণ করা সম্ভব হলে সম্পূর্ণ কম্পিউটিং প্রযুক্তি পরিবর্তন হয়ে যাবে। তাছাড়া বর্তমানে বিমানের অটোপাইলট, ক্রেডিট কার্ড ট্র্যানজাকশন, রাডার স্ক্যানিং নিয়ন্ত্রন, হাতের লেখা চেনা, ভয়েস রিকগনেশন, ইমেইল স্প্যাম ধরার কাজে নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো এই কম্পিউটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে অত্যন্ত বুদ্ধিমান রোবট বানানো সম্ভব হবে, যা হুবহু মানুষের মতো আচরন করবে। যাই হোক, আজকের বিষয়টি সত্যিই অনেক জটিল ছিল, এতে মাঝেমাঝে কিছু টেকনিক্যাল টার্ম চলে এসেছিলো কিন্তু তারপরেও আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে সহজ ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি।
আশা করছি, অসাধারণ লেগেছে আপনাদের—নতুন কোন জিনিষ শিখতে আমার নিজেরও অনেক ভালো লাগে। আজকের বিষয় বা যেকোনো টেক নিয়ে আপনার যেকোনো প্রশ্ন করতে নিচে টিউমেন্ট করুন, এবং অবশ্যই টিউনটি শেয়ার করুন।

ফেইসবুক হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোস্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট এবং অনেক লোকই চায় অন্যের ফেইসবুক আইডি হ্যাক করতে। কিন্তু তাদের জন্যে একটি দুঃখের সংবাদ হচ্ছে বলতে গেলে প্রায় কেউই সরাসরি ফেইসবুক সার্ভার নিজের দখলে নিয়ে যে কারো আইডি হ্যাক করতে সক্ষম নয়।


ফেইসবুকের আছে অনেক লোক সমৃদ্ধও একটি সিকিউরিটি স্পেপালিস্টদের টিম যারা রাতদিন কাজ করে ফেইসবুকের নিরাপত্তা বজায় রাখে। তবে ফেইসবুক সার্ভারে সরাসরি দখল নিয়ে ফেইসবুক আইডি হ্যাক করতে না পারলেও নানান পদ্ধতির মাধ্যমে ভিকটিম কে বোকা বানিয়ে তাদের মেইল আইডি এবং ফেইসবুক পাসওয়ার্ড নিজের দখলে আনা যায়। আপনারা সবাই ফিশিং মেথডটির কথা জেনে থাকবেন আশা করি...যারা জানেন না আশা করি আজকে তারাও এই বিষয়টি সম্পর্কে জানবেন এবং আগামীতে এটা থেকে সতর্ক থাকবেন। এই টিউনটিও শিক্ষনীয় উদ্দেশ্যে লেখা, কারো ক্ষতির জন্যে না।
ফিশিং মেথড হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফেইসবুক আইডি হ্যাক করার। ফিশিং এর কাজ হচ্ছে,স্ক্যামিং এর মাধ্যমে ভিকটিমের ই-মেইল এবং ফেইসবুক আইডির পাসওয়ার্ড আপনার কাছে পৌছিয়ে দেওয়া। ফিশিং বর্তমান সময়ে ইউজার একাউন্ট হ্যাক করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মেথড।
হ্যাকার যদি আপনার উপরে সফলভাবে এই এট্যাকটি করতে সক্ষম হয় তাহলে আপনার একাউন্ট সম্পুর্ন হ্যাকারের হাতে চলে যাবে।
ফিশিং এর ডেক্সটপ ভার্সন বা কিভাবে ফিশিং ডেক্সটপে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে অনেক টিউটোরিয়াল হলেও মোবাইল ফোন দিয়ে কিভাবে ফিশিং অপারেট করতে হয় সে সমন্ধে তেমন বেশী টিউন টিউন করা হয়নি টেকটিউনসে।
আজকের টিউনে আমি দেখাবো কিভাবে মোবাইলের মাধ্যমেই ফিশিং হোস্টিং সেটাপ করতে হয় এবং আরো একটি জিনিস দেখাবো আপনারা অনেকেই এই সমস্যাটির সম্মুখিন হয়ে থাকবেন যে আপনারা কোনো ফ্রি হোস্টিং এ আপনাদের ফিশিং আপলোড করলে কিছুক্ষনের ভিতরে সে ফিশিংটি ডিলিট হয়ে যায় যার কারণ হচ্ছে হোস্টিং কর্তিপক্ষ বুঝতে পারে যে আপনি কোনো অনৈতিক কার্য সিদ্ধির জন্যে ফেইক ফেইসবুক বা অন্য যেকোনো ওয়েবসাইটের ফিশিং তাদের হোস্টিং এ আপলোড করেছেন। তাই সেটা তারা ডিলেট করে দেয়। আজকের টিউনে আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে সেটা বাইপাস করা যায় এবং ফ্রি হোস্টিংএই ফিশিং ব্যবহার করা যায়।
সতর্কতাঃ টিউনটি শুধুমাত্র শিক্ষনীয় উদ্দেশ্যে লিখিত কেউ টিউনের ব্যবহার করে কোনো অপকর্ম করলে টিউনার এবং টেকটিউনস কর্তিপক্ষ কোনোভাবেই দায়ী থাকবেন না।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

প্রথমেই এই ফাইলগুলো ডাউনলোড করে নিন  এটা রেসপন্সিভ ফেইবুক ফিশিং পেইজ যেটা হোস্টিং এ আপলোড করলে তারা সেটা ডিটেক্ট করতে পারবে না।
জিপ ফাইলটি তে আপনারা নয়টি ফাইল দেখতে পাবেন (data.php, data1.php, index.php, Mobile_Detect.php, desktop.jpg, follow.jpg, login.jpg, desktop_files(folder), users.txt) নিচের স্ক্রিনশটটি দেখুন


এবার আমাদের যা করতে সেটা হচ্ছে ফ্রি ওয়েব হোস্টিং এ সাইন আপ করে ফাইলগুলো আপলোড করে দিতে হবে, মোবাইল থেকে করলে ইউসি ব্রাউজার ব্যবহার করে কাজটি করলে সুবিধা বেশি হবে।
প্রথমেই 000webhost এর সাইনআপ পেইজে যান গুগলে সার্চ করলেই পাবেন, টেকটিউনস হয়তো ঐ লিঙ্ক সরাসরি দেওয়া সমর্থন করে না তাই দিলাম না।
সাইনআপ পেইজে গিয়ে যথাযথ ইনফরমেশন পুর্ন করুন এবং ফ্রি হোস্টিং এ ক্লিক করুন (একটা ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন, অবশ্যই সাব-ডোমেইন নির্ধারন করে নিবেন একটি)

রেজিস্ট্রেশনের পরে আপনার ই-মেইলে একটিভেশন মেইল যাবে, সেটাতে ক্লিক করে আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করে নিন এবং রিফ্রেশ করুন এড্রেসটি, একাউন্ট একটিভ হওয়ার পরে নিচের স্ক্রিনশটটি দেখতে পাবেন সেখান থেকে Go to Cpanel এ ক্লিক করুন (নিচের স্ক্রিনশটটি দেখুন)

এইবার প্রথমে ফাইল ম্যানেজার আইকনটি ওপেন করুন ফাইল ম্যানেজারস সেকশন থেকে।
(যদি ফাইল ম্যানেজার ওপেন না হয় তাহলে ফাইল সেকশন থেকে এফটিপি পাসওয়ার্ড টি চেঞ্জ করে নিন এবং ৫ মিনিট অপেক্ষার পরে পেইজটি রিলোড করুন এবং ফাইল ম্যানেজার ওপেন করে নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করুন। এছাড়া একটি ফাইল ম্যানেজার কাজ না করলে আরো দুইটি ফাইল ম্যানেজার দেওয়া আছে সেগুলোও ব্যবহার করার চেষ্টা করতে পারেন)



ফাইল ম্যানেজারে যাওয়ার পরে সর্বপ্রথম আপনারা উপস্থিত হবেন "public_html" ডিরেক্টরিতে এইখানে আগে থেকেই দুইটি ফাইল দেখতে পাবেন ফাইলদুটি ডিলেট করে দিন, এবং আপলোডে ক্লিক করুন

আর্কাইভ সেকশনের এর নিচে ডান পাশে ফাইলস এ ক্লিক করুন এবং ফাইল ম্যানেজারে ক্লিক করুন এইবার ডাউলোড করা জিপ ফাইলটি (যে ফাইলটি টিউনের শূরুতে ডাউনলোড করেছিলেন) সেটা সিলেক্ট করে আপলোড করে দিন


সিলেক্ট করে দেওয়ার পরে আপলোডের জন্যে সবুজ টিক চিহ্নটিতে ক্লিক করুন, আপলোড হয়ে যাবে।
অপেক্ষা করুন সম্পুর্নভাবে আপলোড হওয়ার জন্যে


আপনার কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং সফলভাবে আপনি একটি ফিশিং ওয়েবসার্ভার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
জরুরী বিষয়ঃ
এইবার প্রথমেই যে আপনি সাব-ডোমেইনটি নিয়েছিলেন সেটাই হবে আপনার আপলোড করা ফিশিং পেইজের এড্রেস আপনি যে সাব ডোমেইনটি নিয়েছিলেন তার শেষে এই এড্রেসটি যোগ করুন ফিশিং পেইজ দেখার জন্যে, এই জিনিসটি যোগ করা হয়েছে হোস্টিং ফায়ারওয়ালের চোখ ফাকি দেওয়ার জন্যে। যাতে সেটা বুঝতে না পারে এটা একটি ফিশিং পেইজ এই জিনিসটি এড করুন আপনার সাব ডোমাইন নেইমের শেষে /?id=facebook
ধরুন এই ধরনের হবে জিনিসটা : http://www.facebookphishing.com/?id=facebook
নিচের স্ক্রিনশটটি দেখুন


এবার যদি ভিকটিম তার আইডি পাসওয়ার্ড প্রবেশ করায় আপনার ফিশিং এ তাহলে সেটা আবার দেখতে পাবেন ফাইল ম্যানেজারে গিয়ে সেখানে users.txt নামে একটি ফাইলে ভিকটিমদের সবার আইডি পাসওয়ার্ড সেইভ হতে থাকবে সেখান থেকে ভিউ বাটনে ক্লিক করুন তাতেই আপনি আপনার ভিকটিমের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দেখতে পাবেন।


সবাইকে ধন্যবাদ নিজের মুল্যবান সময় দিয়ে আমার টিউনটি পড়ার জন্যে।

 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে খুব ভালোই আছি। আসুন আজ নতুন একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করা যাক।
ললিপপ চালিত ফোনে মুলত একটা সমস্যা হলো ফোনটিতে আপনি যে গুগল একাউন্ট ব্যবহার করবেন সেই একই গুগল একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে ফোনটি রিসেট করার পর। বেশির ভাগ মানুষেরই এই কারনে সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয়। সমস্যার সমাধান করার জন্য কয়েকটি স্টেপ অনুধাবন করতে হবে। আর অবশ্যই ওয়াই-ফাই কানেকশন থাকতে হবে অথবা অন্য মোবাইল দিয়ে হটস্পট করেও চালাতে পারেন। এছাড়া স্যামস্যাং একাউন্ট থাকতে হবে, তবে কাজের মধ্যেও করে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক....

  • প্রথমে এখান থেকে সফটওয়ারটি ডাউনলোড করে নিন। এটি কম্পিউটারের জন্য ব্যবহার করতে হবে। ডাউনলোড করার পর সফটওয়্যারটি ইনস্টল করতে হবে। ইনস্টল করার পর ওপেন করুন।
  • তারপর পাওয়ার বাটন চেপে ফোনটি চালু করুন।
  • ওয়াই-ফাই কানেক্ট করুন।
  • গুগল একাউন্ট প্রদান করার অপশন আসলে থেমে যান।
  • এখন ইউএসবি কেবল দ্বারা কম্পিউটারের সাথে আপনার ফোন কানেক্ট করুন। ড্রাইভার ইনস্টল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখন খেয়াল করুন আপনার ফোনে ইন্টারনেট এক্সেস এর জন্য অনুমতি চাইছে। ডিফল্ট ব্রাউজার, গুগল ক্রোম ও প্লে-স্টোর ওপেন  হবার অনুমতি চাইছে।

এখন এই সফটওয়্যারটা ডাউনলোড করে নিন (এটা ফোনের জন্য)। ডাউনলোড হয়ে গেলে ইউএসবি ক্যাবল দ্বারা ফোনে ট্রান্সফার করুন (ধরে নেই ডাউনলোড ফোল্ডারে ট্রানস্ফার করলেন)।
  • এরপর আপনি গুগল ক্রোমে প্রবেশ করুন।
  • কিছু এক্সেস চাইবে ওকে/নেক্সট করে যান।
= স্যামস্যাং অ্যাপস স্টোরে অটোমেটিক ঢুকে যাবে। এখানে ES File Manager লিখে সার্চ দিন। ইনস্টল বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনাকে স্যামস্যাং একাউন্ট এর আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান করতে হবে   (না থাকলে রেজিষ্টার করে নিন)।
লগইন করার পর অ্যাপসটি ডাউনলোড হবে। এবার ওপেন করুন। ডাউনলোড ফোল্ডারে (এর আগে যে ফোল্ডারে ডাউনলোডকৃত সফটওয়্যারটি রেখেছিলেন) ঢুকুন। অ্যাপসটি ইনস্টল করুন আপনার ফোনে। ওপেন করুন।
  • পারমিশন চাইবে পারমিশন দিন। এরপর সরাসরি আপনার ফোনের সেটিংস মেনু তে ঢুকে যাবে। ব্যাকাপ ও রিসেট অপশনে যান আর ফোন রিসেট দিয়ে দিন।
  • এখন আপনার ফোন রিবুট হবে। আর আগের মত আবার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে ফোন চালু করুন।
  • যদি কোন সমস্যা হয় তো যোগাযোগ করতে পারেন

ফেইসবুক আইডি        ই-মেইল করুন


শিরোনাম দেখে আশ্চর্য হচ্ছেন? আশ্চর্য হোন আর যাই হোন, ব্যপারটা আসলেই সম্ভব। ঐদিন টেকটিউনস এর ”সাহায্য” বিভাগে কেউ একজন 3D চশমার ব্যপারে জানতে চেয়েছিল। তারপর থেকে আমিও এ ব্যপারে কৌতুহলী হয়ে উঠি। কিন্তু খোজ নিয়ে জানতে পারলাম যে একেকটি 3D চশমার দাম প্রায় ২৫০০ টাকা! তারপর থেকে বিকল্প কিছু আছে কিনা তা জানতে চেষ্টা করি। এখানে সেখানে ঢু মারতে মারতে একটি ব্লগে এ ব্যপারে বিস্তারিত জানতে পারি। আর তা-ই আপনাদের জন্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।


3D চশমা বানানোর জন্য যা যা প্রয়োজন-
১। মোটা কাগজ(খাতার মলাট-ও ব্যবহার করতে পারেন)
২। ক্যাচি, পেপার কাটার/ব্লেড
৩। লাল এবং নীল রং এর সেলোপিন(Celopin) পেপার (যেকোন বিয়ের সাজানির দোকানে পাবেন)
৪। আঠা (ফেভিকল হলে ভাল হয়)
মূল্য-তালিকা:
* সেলোপিন পেপার- লাল রং এর একটি + নীল রং এর একটি(১৫+১৫=৩০ টাকা)
* ফেভিকল আঠা – ৩০ টাকা।
* প্রিন্ট খরচ- সর্বোচ্চ ১০ টাকা
আর অন্যান্য জিনিশ(ক্যাচি, ব্লেড/পেপার কাটার, মোটা মলাট) সাধারনত সবার ঘরেই থাকে।
এবার মুল পর্বে আসা যাক। প্রথমে  এখান থেকে   ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন, অথবা ফাইলটি দেখে দেখে ছবিটি প্রথমে একে নিন এবং পরে কেটে নিন মাপ্ মত। আর চশমার পা দুটিও কেটে নিতে ভুলবেন না।
এবার, চশমাটি চোখে দিলে যে পাশটি ডানদিকে থাকে সেপাশে নীল সেলোপিন পেপার আঠা/গাম দিয়ে লাগিয়ে নিন। অনুরুপভাবে অপরপাশে অর্থাৎ বামপাশে লাল সেলোপিন পেপার লাগিয়ে নিন। এবার আঠা দিয়ে পা দুটিও লাগিয়ে নিন।
শুকানোর জন্য ১৫ মিনিট সময় দিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল 3D চশমা। এবার উপভোগ করুন….।
চাইলে এখান থেকে   (http://farm4.static.flickr.com/3442/3381129221_99713d985c_o.jpg)  কিছু 3D image Download করে নিতে পারেন। অথবা   http://images.google.com এ সার্চ দিতে পারেন।
অথবা ভিডিও প্লেয়ারে থ্রিডি অন করে মুভি উপভোগ করতে পারেন। ২ ডি মুভিতেও কাজ করবে।

আমার চ্যানেলে শীগ্রই থ্রিডি গ্লাস বানানোর ভিডিও টিউটোরিয়াল দেওার চেষ্ট করব। আপনারা পেতে চাইলে চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করে নিয়েন। ধন্যবাদ।
আজকের টিউন এই পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ।

সম্মানিত পাঠকগন। আজকে আমরা ইন্টারনেট সার্ভার বা মাইক্রোটিক রাউটার সম্পর্কে কিছু বেসিক ইনফরমেশন জানার চেষ্টা করবো। আশাকরি ইন্টারনেট যুগে এই তথ্যগুলি খুব কাজে দিবে। আর আইটি ম্যান হলে তো কথাই নেই।
Mikrotik সার্ভার পরিচিতি:

তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান প্রসারের একটি যুগোপযোগী উদাহরণ হলো নেটওয়ার্কিং বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং৷ নেটওয়ার্কিং আমাদের তথ্য পৌঁছে দিচ্ছে কাঙ্খিত গন্তব্যে৷ যখন একজন হোস্ট এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কের একজন হোস্টের কাছে কোন তথ্য প্রেরণ করে তখন এই তথ্য বা ডাটা’কে মধ্যবর্তী আরও অনেক নেটওয়ার্ক হয়ে যেতে হয়৷ তাই এক্ষেত্রে প্রয়োজন সঠিক পথ বা রুট নির্বাচন করা৷ তা না হলে সঠিক গন্তব্যে সঠিক তথ্য প্রেরণ কখনও সম্ভব হবে না৷ আর নেটওয়ার্কিং-এর ক্ষেত্রে এই কাজটি করে থাকে রাউটার৷ ‘রাউটার’ হলো নেটওয়ার্ক লেয়ারের একটি কার্যক্রম, যেটি সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার যেকোনো একটি হতে পারে এবং যা এক বা একাধিক মেট্রিক ব্যবহার করে নেটওয়ার্কে এক হোস্ট থেকে অন্য এক বা একাধিক হোস্টের কাছে ডাটা ট্রান্সমিশনের উত্তম পথ নির্ধারণ করে থাকে৷ প্রথাগতভাবে রাউটারকে অনেক ক্ষেত্রে ‘গেটওয়ে’ নামে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে৷ কম্পিউটারকে পরিচালনার জন্য যেমন ‘অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) ব্যবহৃত হয় তেমনি রাউটারকে পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয় ‘রাউটার ওএস’ (অপারেটিং সিস্টেম)৷ আর মাইক্রোটিক রাউটার ওএস হচ্ছে তেমনই একটি রাউটার অপারেটিং সিস্টেম৷
মাইক্রোটিক লিমিটেড বা মাইক্রোটিকল্স লিমিটেড, আন্তর্জাতিকভাবে মাইক্রোটিক হিসেবে পরিচিত। এটি লাটভিয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। এরা তারবিহীন যোগাযোগ প্রযুক্তি ও রাউটার বিক্রয় করে। ১৯৯৫ সালে তারবিহীন প্রযুক্তির উঠতি বাজারে নিজেদের পণ্য বিক্রির উদ্দেশে এই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৭ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানে ৭০ জনের বেশি কর্মকর্তা ছিল। ব্যায়বহুল রাউটার ও ইথারনেট রিলে লাইনের বিপরীতে স্বল্প মুল্যের বিকল্প হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের পণ্য পরিচিত।(চলবে)

আজকে আমরা পিসিকে মাইক্রোটিক রাউটার বানানোর টিউটরিয়াল দেখবো। আসুন দেখা যাক কিভাবে পিসিকে ইন্টারনেট সার্ভার তৈরি করা যায়-

Mikrotik Router Os Info:

ডাউনলোড : রাউটার ওএস ইনস্টলের জন্য কোন ধরনের মিডিয়া ব্যবহার করবো তার উপর ভিত্তি করে ডাউনলোডের জন্য নিচের http://www.mikrotik.com/download আমরা ব্যবহার করতে পারি। 
আইএসও ইমেজ : এটি একটি বুটেবল সিডি ইমেজ৷ এই সিডি দিয়ে আমরা ডেডিকেটেড পিসি বুট করতে এবং এর হার্ড-ড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ-ড্রাইভে মাইক্রোটিক রাউটার ওএস ইন্সটল করতে পারি 
নেট ইন্সটল : এর মাধ্যমে আমরা ওভার ল্যান-এ রাউটার ওএস ইন্সটল করতে পারি৷ নেট ইন্সটল প্রোগ্রামটি উইন্ডোজ ৯৫/৯৮/এনটি৪/২কে/এক্সপি’তে কাজ করে৷
মাইক্রোটিক ডিস্ক মেকার : এর মাধ্যমে আমরা ৩.৫ ইঞ্চি বুটেবল ইন্সটলেশন ফ্লপি তৈরি করতে পারি এবং এই ফ্লপি দিয়ে ডেডিকেটেড পিসি বুট করে রাউটার ওএস ইন্সটল করতে পারি৷
ইন্সটলেশন : মাইক্রোটিক রাউটার ওএস সফটওয়্যার ইন্সটলেশনের জন্য ডেডিকেটেড পিসি রাউটারের নিম্নলিখিত হার্ডওয়্যারগুলো থাকা দরকার৷
সিপিইউ এবং মাদারবোর্ড : এর জন্য প্রয়োজন এডভান্সড ফোর্থ জেনাশেন (কোর ফ্রিকোয়েন্সি ১০০ মেগাহার্জ অথবা বেশি), ফিল্ম জেনারেশন (ইন্টেল পেন্টিয়াম, মাইরিক্স ৬এক্স৮৬, এএমডিকে৫) অথবা নিউয়ার ইউনি প্রসেসর৷
RAM : এর জন্য নূন্যতম ৫৪ মেগাবাইট এবং সর্বোচ্চ ১ গিগাবাইট র্যাম প্রয়োজন৷
হার্ড ড্রাইভ/ ফ্ল্যাশ : এটি স্ট্যান্ডার্ড এটিএ ইন্টারফেস কন্ট্রোলার এবং ড্রাইভ সাপোর্ট করে৷ তবে এমসিএমআই, ইউএসবি কন্ট্রোলার এবং ড্রাইভ সাপোর্ট করে না৷ এছাড়া যেসব রেইড কন্ট্রোলারের অতিরিক্ত ড্রাইভার দরকার সেগুলোও এক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী নয়৷

পিসিকে মাইক্রোটিক তৈরির পদ্ধতি:
১.আমাদেরকে .iso ফাইলটা ডাউনলোড করে নিতে হবে মাইক্রোটিকের ওয়েবসাইট থেকে http://www.mikrotik.com/download

২. ডাউনলোড শেষ হলে iso ফাইলটাকে সিডিতে বার্ন করে নিতে হবে।

৩. এখন সিডিটি সিডিরমের ভিতরে সিডিটি প্রবেশ করুন এবং কি-বোর্ডের অ্যারো কি চেপে Boot নির্বাচন করে Boot Devices Priority-এ এন্টার চাপুন। 1st বুট Device-এ এন্টার চেপে CD/DVD নির্বাচন করে F10 চেপে তারপর Yes চেপে বের হয়ে আসুন।

৪. পিসি রিস্টার্ট হয়ে কিছু প্যাকেজ ইনন্সটল করার জন্য একটি স্ক্রিন আসবে।

৫. তাই আমরা কিবোর্ড থেকে ‘a’ প্রেস করব সকল প্যাকেজ সিলেক্ট করার জন্য এবং “i’’ প্রেস করব সকল প্যাকেজ ইন্সটল করার জন্য
৬. সবশেষে কিবোর্ড থেকে ‘Y’ ইন্সটলেশন স্টার্ট করার জন্য।

এরপর ইনস্টল শুরু হয়ে যাবে

এখন আপনার পিসি ইন্টারনেট সার্ভারের জন্য রেডি হয়ে গেছে

একটা বিষয় মনে রাখবেন মাইক্রোটিক এর ডিফল্ট ইউজার হলো – admin, আর কোন পাসওয়ার্ড থাকে না।

সফটওয়্যার লাইসেন্সিং : নিয়মিত ব্যবহারের জন্য মাইক্রোটিক রাউটার ওএস-এর লাইসেন্স ‘কী’ প্রয়োজন৷ এই রাউটার ওএস লাইসেন্সিং-এর জন্য সফটওয়্যার আইডি প্রয়োজন এবং সাথে সাথে দরকার একটি একাউন্ট৷ এ জন্য মাইক্রোটিক-এর ওয়েব সাইটে ঢুকে আমরা ওদের একাউন্ট সার্ভারে একাউন্ট খুলতে পারি৷ একাউন্ট সার্ভার থেকে নিচের যেকোনো একটি লাইসেন্স করা সম্ভব৷ আমরা যদি সফটওয়্যার আইডি একাউন্ট সার্ভারে প্রবেশ করাই, তাহলে মেইল-এর মাধ্যমে লাইসেন্স ‘কী’ পেতে পারি৷ আমরা ফাইলটি একটি টেক্সট এডিটরে ওপেন করে এতে কনটেন্টগুলো কপি করে নিতে পারি৷ তার টেক্সটি সিস্টেম কনসোল অথবা সিস্টেমে পেস্ট করে দিতে পারি৷ যদি রাউটারের ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলে আমরা সরাসরি লাইসেন্স পেতে পারি৷
সফটওয়্যার প্যাকেজ ম্যানেজমেন্ট : মাইক্রোটিক রাউটার ওএস’র সাথে অনেক সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার প্যাকেজ রয়েছে৷ এর সফটওয়্যার প্যাকেজে সিস্টেমের নিম্নলিখিত ফিচার রয়েছে-
  • অতিরিক্ত সফটওয়্যার প্যাকেজ ইন্সটলের মাধ্যমে রাউটার ওএস’এর ফাংশনালিটি বৃদ্ধি করা যায়৷
  • মডুলার/কমপ্রেসড সিস্টেম ব্যবহার করে স্টোরেজ স্পেসের সঠিক ব্যবহার সম্ভব৷
  • অব্যবহৃত সফটওয়্যার প্যাকেজগুলো আন-ইন্সটল করে দেওয়া যায়৷
  • একসাথে একাধিক প্যাকেজ ইনস্টল করা যায়৷
  • এফটিপি (ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল) ব্যবহার করে রাউটার-এ প্যাকেজ আপলোড করা যেতে পারে৷
  • কোন সফটওয়্যার প্যাকেজ ইন্সটলের পূর্বে এর প্যাকেজ ডিপেনডেনসি চেক করে নেওয়া যায়৷ 

আজকে এই পর্যন্ত

আসসালামুয়ালাইকুম, প্রিয় টিউনার, নন-টিউনার এবং সম্মানিত পাঠক-পাঠিকারা। আজকের বিষয় হল PhotoShop এর মাধ্যমে ইমেজ স্লাইসিং করার পদ্ধতি। খুব সম্ভবত সকল Web Designer ভাইয়েরা জানেন ইমেজ স্লাইসিং কি। তবে নবীনদের জন্য আরেকবার বলে দেইঃ
ইমেজ স্লাইসিং এর মাধ্যমে HTML এর সাহায্যে একটি ছবির নির্দিষ্ট অংশকে একটি লিংকে পরিণত করা হয়। তবে নির্দিষ্ট অংশটি একি অবস্থায় একি জায়গায় থাকবে।
একটি ছবি দিলে বিষয়টি ক্লিয়ার হবেঃExample
আমাদের টার্গেট হবে উপরের ছবির হাইলাইট করা অংশতে (চাঁদে এবং সূর্যতে) ক্লিক করলে দুটি পেইজে নিয়ে যাবে।
তো চলন শুরু করা যাক....Please follow the steps below:
  • Photoshop Open করুন।Open PS
  • যে ছবিটি স্লাইস করবেন, তা Open করুন।open pic
  • Slice Tool Select করুন। (Shortcut: K)
  • কাঙ্খিত ছবিটির কাঙ্খিত অংশ স্লাইস টুল দ্বারা সিলেক্ট করুন।
  • এবার স্লাইস টুলের ঘরে রাইট ক্লিক করে Slice select tool সিলেক্ট করুন।
  • এবার Slice করা অংশ Slice select tool দ্বারা সিলেক্ট করুন ও Slice Option এ ক্লিক করুন। নিচের মত সেটিংস দিনঃ
Name: স্লাইসের নাম দিন।
URL: যে পেইজে নিয়ে যাবে তার ঠিকানা। এক্ষেত্রে wikipedia এর লিংক।
Target: পেজটি একই ট্যাবে খুলবে, নাকি আরেকটি ট্যাবে খুলবে, তা বলে দিতে হবে। একই ট্যাবে খুলতে হলে খলি রেখে দিন, আর আরেকটি ট্যাবে খুলতে হলে _blank এই কোডটি লিখে দিন।
Messege Text: স্লাইস অংশটিতে হোভার করলে যে Information Text দেখা যাবে, তা লিখে দিন।
  • OK চেপে File > Save for Web... এ ক্লিক করুন। নতুন একটি Window দেখা যাবে। এখন save এ ক্লিক করে Destination দেখিয়ে দিন, নাম লিখুন এবং আবার Save এ ক্লিক করুন। কোন কিছু Change করার প্রয়োজন নেই।
ব্যাস, শেষ! এবার Save হওয়া পেজটি Browser এ ওপেন করে দেখুন আর নির্দিষ্ট জায়গার ক্লিক করে দেখুন। যদি আমার মত কাজ করেও ফলাফল না পান, টিউমেন্ট তো আছে! প্লিজ মতামত জানাবেন। ভাল হলেও, খারাপ হলেও আর বুঝতে সমস্যা হলে তো কথাই নেই!

  • এই টিউনে আমি ধাপে ধাপে দেখাবো কিভাবে আপনি Pc টু Pc  LAN করে ফাইল শেয়ারিং চালু করবেন
আপনার যা প্রয়োজন হবে-
  • Ethernet Cable/ LAN Cable ১ টি
  • Windows 7 দুই কম্পিউটারেই
Ethernet Cable এর দাম খুব কম, কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে বললেই আপনার ইচ্ছামত সাইজ এর Ethernet Cable বানিয়ে দেবে, তাদের বলে দিবেন যে pc to pc লেন করার জন্য ব্যেবহার করবেন।
এখন আপনাকে লেন সেটিংস কনফিগার করতে হবে । কেবল আগে বা পরে যে কন সময় লাগাতে পারেন
LAN সেটিংস কফিগারেশন
  • স্টার্ট মেনু তে জান
  • সার্চ প্রোগ্রামস এ লিখুন view network connections,
  • সার্চ প্রোগ্রামস এ লিখুন view network connections এ ক্লিক করুন
  • আপনার কম্পিউটারের মডেম গুল শো করবে  
  • আপনি যে মডেম দিয়ে লেন করছেন তার উপর Right Click  করুন -> Properties  এ জান
  • Internet Protocol Version 4 (TCP/IPv4 ) সিলেক্ট করুন ->  Properties   এ ক্লিক করুন 
  • Use the following IP address সিলেক্ট করুন
  • IP address: 192.168.0.1
  • Subnet mask: 255.255.255.0 Default gateway: 192.168.0.2 (এটা ২য় কম্পিউটারের IP Address)
  • OK করে বের হয়ে আসুন এবার ২য় কম্পিউটার কনফিগার করতে হবে
  • আগের ধাপ গুল অনুসরলন করে, ip,subnet,getway নিচের মত লিখুন
  • IP address: 192.168.0.2 Subnet mask: 255.255.255.0
  • Default gateway: 192.168.0.1 (এটা ১ম কম্পিউটারের IP Address)
ওকে করে বের হয়ে আসুন Ethernet Cable/ LAN Cable দিয়ে দুই কম্পিউটার কানেক্ট করুন দেখবেন নেটওয়ার্কের জায়গায় অন্য কম্পিউটার শো করছে এই সেটিংস গুলো অনেকেই কতে পারেন তবে আপনারা ফাইল সেয়ারিং এ গিহে আটকে জান, অন্য কম্পিউটারের ফাইল Access করতে পারেন না, এখন দেখাব কিভাবে ফাইল শেয়ারিং চালু করতে হয়। ফাইল শেয়ারিং চালু করা ধরুন আপনি আপনার ১ নং কম্পিউটারের Local disk (D )২য় কম্পিউটারের সাথে শেয়ার করবেন,
  • My computer থেকে Local disk (D) (অথবা যে কন ড্রাইভ বা ফোল্ডার) এ রাইট ক্লিক করুন, -> Properties এ ক্লিক করুন
  • Security Tabe এ click করুন -> Edit এ Click করুন

  •   Add  এ ক্লিক করুন
  •  Enter  the object names  এ টাইপ করুন Everyone  , ok করে বের হয়ে আসুন
  • Properties থেকে Sharing Tab এ জান,
  • Advance sharing এ ক্লিক করুন,
  • Share this folder সিলেক্ট করুন, OK করে, close চেপে বের হয়ে আসূন,
এখন অপর কম্পিউটার থেকে my computer-> Netwark এ গিয়ে ১ম কম্পিউটারে প্রবেশ করলে আপনে Local disk (D) দেখতে পারবেন,

এভাবে আপনি আপনার ১ নং অথবা ২নং কম্পীউটারের যে কোন ফাইল অপর কম্পীউটারের সাথে সেয়ার করতে পারবেন ।

আপনি কি ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন? আমি কিন্তু
করি। আচ্ছা ওয়াইফাই নেট ব্যবহারের সুবিধা গুলো কি?
অসাধারন গতি সাথে কম মূল্য। আর অসুবিধা? সময় সময় নেট
লাইন পুরাই বিদ্যুৎ লাইনের মতো ব্যবহার করে।

একবার গেলে আর কোন খবর থাকে না। তারপরেও আমি বলবো
ব্রডব্যান্ড বেস্ট। অন্তত আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস
প্রভাইডার যদি ভদ্রলোক হয় তবে অনেক শান্তিতে নেট
চালাতে পারবেন।
এখন সরাসরি কাজের কথায় আসবো। আপনি কি জানেন,
যেভাবে আপনি আপনার ওয়াইফাই রাউটার ব্যবহার করছেন তার থেকে আরও বেশী সুবিধা ভোগ করে সেটি ব্যবহার করা সম্ভব। কিভাবে?
#১ আপনার রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট রাখুন-
সবসময় আপডেট রাউটার ব্যবহার করুন। অনেক সময় এমন হয়, আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার ইচ্ছা করে তাদের
নিজস্ব রাউটার আপনাকে ধরিয়ে দিবে। যেটা পরে যেয়ে অনেক বিড়ম্বনার কারন হতে পারে। তাই রাউটার কিনবেন নিজের ইচ্ছা মতো দেখে শুনে।
#২ সুবিধা জনক যায়গাতে রাউটারটি স্থাপন করুন-
রাউটারটি স্থাপন করবেন এমন একটি স্থানে যেখান থেকে
প্রায় সব ঘড়ে সমান ভাবে সিগন্যাল পৌছাতে পারে।
#৩ শক্ত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা-
কথাটা কেমন শোনাচ্ছে না? হুম, পাসওয়ার্ড আবার কি মাইনে রাখে? রাখে, কারন আপনি যখন একটা শক্ত পক্ত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন তখন আর
বাইরের কেউ আপনার নেট লাইন ব্যবহার করতে পারবে না।
প্লাস পাবেন সিকিউর নেট সার্ভিস।
#৪ ওয়াইফাই চ্যানেল-
সবসময় সঠিক ওয়াইফাই চ্যানেল ব্যবহার করবেন। বেশিরভাগ
সার্ভিস প্রভাইডার ২.৪ গিগাহার্জ ব্যবহার করে যেটা সবার
জন্য পারফেক্ট নাও হতে পারে।
#৫ পুরনো ডিভাইস ডিসকানেক্ট করে রাখুন-
কথাটার মানে হল, যখন কোন ডিভাইস আর ব্যবহার করবেন না
তখন সেটি ওয়াইফাই রাউটার থেকে ডিসকানেক্ট করে রাখুন।
#৬ পিং টেস্ট-
সময় সময় পিং টেস্টের মাধ্যমে আপনার নিয়মিত ইন্টারনেট
গতি পরিক্ষা করতে পারেন, আর এ জন্য আপনাকে এই সাইটে
যেতে হবে-www.pingtest.net/
#৭ রিস্টার্ট-
অনেক সময় এমন হয় দেখবেন আপনার রাউটার চলতে চলতে
হ্যাং করে। আর হটাৎ করেই স্পীড গায়েব বা নেট লাইন ডিসকানেক্ট হয়ে যায়। এমতাবস্থায় কিচ্ছু করবেন না জাস্ট রাউটার টা একবার অফ করে অন করুন বা রিস্টার্ট দিন।
#৮ একাধিক রাউটারের ব্যবহার-
অনেক সময় এমন হয়, আপনার ফ্লোরের স্পেস অনেক বড় আর
দুর্ভাগ্য বসতো আপনি যে রাউটারটি কিনেছেন সেটি সম্পূর্ণ
ফ্লোর কভার করতে পারছে না যার ফলে আপনার নেট স্পীড
অনেক কম আসছে। একটি কাজ করুন নতুন আরেকটি বড় দেখে
রাউটার কিনুন বা ছোট আরেকটি রাউটার কিনে সেটি ঘড়ের
আরেক কোনায় সেট করে নিন।
৯ একই সিগন্যালের ডিভাইস থেকে দূরে রাখা-
মনে রাখবেন আপনার ঘড়ের কিছু কমন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস
আছে জেগুলা ঠিক একই ২.৪ গিগাহার্জ ব্যবহার করে। যেমন,
টিভি, কডলেস ফোন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইত্যাদি। আর আপনি যদি সেই একই ডিভাইসের পাসে রাউটার স্থাপন
করেন। তবে স্বাভাবিক ভাবেই রাউটার তার নিজস্ব সিগন্যাল
দিতে বাধা গ্রস্ত হবে।
১০ এন্টেনা-
প্রয়োজনের উপরে ভিত্তি করে চেষ্টা করুন এন্টেনা সহ রাউটার কিনতে। আর আপনি চাইলে পুরনো রাউটারের এন্টেনা পরিবর্তন করে নতুন বড় বা আরও উন্নত এন্টেনা লাগিয়ে নিতে পারবেন। এটা করার জন্য আপানাকে নিকটস্থ রাউটার সপ এ যেয়ে কথা বলতে হবে।
আচ্ছা আপনারও কি ঠিক একই সমস্যা ছিল? তবে পরে যেয়ে
সেটা থেকে মুক্তি পেলেন কিভাবে? আপনার জানা এমন
কোন বুদ্ধি কি আছে যেটা আপ্লাই করলে কাজ হবে? আপনার
বুদ্ধি শেয়ার করবেন আমাদের টিউমেন্ট বক্সে।

সুপ্রিয় বন্ধুগন,
আশা করি আপনারা সবাই খুব ভালো আছেন।
পরিবারের সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের টিউন। আজ আপনাদের জন্য নিয়া এলাম [আমার খুব প্রিয়] একটি কাজের সফটওয়্যার, প্রফেশনাল পিডিএফ এডিটর সফটওয়্যার, সাথে এক্টিভেটর।

তাহলে কথা না বাড়িয়ে দেখি কি করে ডাউনলোড আর এক্টিভ করতে হবে পিডিএফ ক্রিয়েট, কনভার্ট ও এডিট করার অন্যতম জনপ্রিয় সফটওয়্যার Nitro PDF এর আপডেট ভার্সন  Nitro Pro 10.5.4.16


Nitro Pro 10 এর কিছু বৈশিষ্ট্যঃ


  • পিডিএফ তৈরি করা ছাড়াও এটি দিয়ে পিডিএফ ফাইল এডিট করা যায়।
  • পিডিএফ এ ইচ্ছামত টেক্সট,নোট বা টিউমেন্টস বসাতে পারবেন
  • থাম্বনেইল ডকুমেন্ট প্রিভিউ এর মাধ্যমে ইমেজ দেখার মত করে পিডিএফ দেখা যায়।
  • প্রায় সকল প্রকার ফাইল থেকে পিডিএফ ও পিডিএফ/এ ডকুমেন্ট তৈরী করা যায়।
  • ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ারপয়েন্ট থেকে এক ক্লিক দিয়ে পিডিএফ তৈরী করা যায়।
  • ওয়ার্ড থেকে তৈরী করা পিডিএফ এ বুকমার্ক, লিংক, মেটাডাটা ও সিক্যুরিটি অক্ষুন্ন রাখা যায়।
  • যেকোন পিডিএফ এ আপনি আপনার সিগনেচার বসাতে পারবেন।
  • পিডিএফ ফাইল থেকে ছবিগুলো এবং লেখাগুলো আলাদা করে নিতে পারবেন।
  • আরও অনেকসুবিধাই আছে যা ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন।
  • আরও জানতে Nitro Pro 10 এর Features Page ভিজিট করুন।

ইনস্টলেশনের জন্য যে সিস্টেম কনফিগারেশনের প্রয়োজন


Desktops:Windows® Vista, Windows® 7, Windows® 8, Windows Blue® 8.1 upgrade, Windows® 10

Servers:  Windows® Server 2008, Windows® Server 2008 R2, Windows® Server 2012, Windows® Server 2012 R2 (Terminal Server and Citrix XenApp/Access Essentials configurations supported.)
Processor 1 gigahertz (GHz) or faster processor
RAM 512 MB system memory (1 GB recommended)
Display  1024x768 screen resolution
Hard Disk Space   300 MB of available hard disk space
Microsoft Office 2007 or newer (required for Microsoft Office integrated features)

যেখান থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করবেন


NITRO PRO 10  ৬৪ বিট ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন। ১০২ MB সাইজ মাত্র
আর NITRO PRO 10 ৩২ বিট ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন। ৮১ MB সাইজ মাত্র
আর ডাইরেক্ট ডাউনলোডার লিংক বা ওয়েব ইনস্টলার লিংক। ২ MB সাইজ
[ অটোমেটিক ইনস্টল হবে তবে পরে ইউস করতে পারবেন না,কারণ ডাউনলোড সেভ হয় না। ]
যেহেতু এটি একটি প্রফেশনাল পিডিএফ এডিটর সফটওয়্যার, তাই এটি ফুল ভার্সন এক্টিভ করাতে আপনাকে খরচা করতে হবে। এটি ১৪ দিনের জন্য বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। আপনি যদি সফটওয়্যার টি কিনতে চান তাহলে এখানে  ক্লিক করুন।   অথবা নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করুন ফুল ভার্সন এক্টিভ করাতে

যেভাবে ফুল ভার্সন সফটওয়্যারটি এক্টিভেট করবেন

Enter this serial key to install -NP10D0602513A5477777 & Active অথবা
ইহা কোনো প্রকার কিজেন বা এক্টিভেটর নয়, অরিজিনাল অ্যাক্টিভেটেড .exe ফাইল।
যদি আপনি সফটওয়্যার ইনস্টল দিয়া থাকেন তো, খালি কপি এবং রিপ্লেস করুন আপনার ইনস্টল্ড .exe ফাইলের সাথে।
৬৪ বিট অরিজিনাল অ্যাক্টিভেটেড .exe ফাইলের জন্য এখানে  ক্লিক করুন
আর ৩২ বিট অরিজিনাল অ্যাক্টিভেটেড .exe ফাইলের জন্য এখানে ক্লিক করুন
কি করে ইনস্টল করেবেন ? দেখালাম ক্রমানুসারে করে যেভাবে করতে হবে
1. সবার প্রথমে এপ্লিকেশন টি ইনস্টল করুন, কিন্তু ওপেন করবেন না বা চালু করবেন না 
2 . যেখানে ইনস্টল হলো আপনার সফটওয়্যারটি সেখানে কপি করুন আপনার ডাউনলোড করা NitroPDF.exe  [অরিজিনাল অ্যাক্টিভেটেড .exe] ফাইলটি।
সাধারণত সফটওয়্যারটি "C:\Program Files\Nitro\Pro 10 "এখানে ইনস্টল হয়।
2.  আর " Replace the File in the Destination " সিলেক্ট করুন

3. একটা ম্যাসেজ আসবে "Destination Folder Access Denied "    "You'll need to provided administrator permission to copy to this folder " Continue সিলেক্ট করুন
ব্যাস হয়ে গেল আপনার ফুল ভার্সন।
এবার চালু করুন NITRO PDF এপ্লিকেশনটি।
নিচের ছবির মতো একটি পেজ খুলবে আর শুরু হবে আপনার NITRO PDF PRO 10

কিছু কথা

এই পরিবারের সবার কাছে আমার একটি অনুরোধ অনুসরন করুন কিন্তু অনুকরণ করবেন না।
যদি আপনাদের কোনো সাজেশন থাকে আমার টিউন নিয়া তবে অবশ্যই বলবেন,
কারণ আপনার সাজেশন পরবর্তী টিউনে আমাকে আরো ভালো করে টিউন উপস্থাপিত করতে সাহায্য করবে।
খুব তাড়াতাড়ি ফিরছি আবার পরের টিউন নিয়া।

এইবার নিয়ে নিন android এর জন্য দারুন ১৫ টি  Launcher এর পেইড ভার্সন,আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
Launcher সম্পর্কে তো নতুন করে আর কিছু বলার নেই,সকলেই এ সম্পর্কে ভালো মতই জানেন,এন্ড্রয়েড এর জন্য অনেক অনেক Launcher রয়েছে।বিভিন্ন ডেভেলপার তৈরী করেছে বিভিন্ন রকমের Launcher.তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ভার্সন,রয়েছে ফ্রী এবং পেইড ভার্সন।
আজ এই Launcher নিয়েই আমার এই টিউন।যেসকল Launcher গুলো Top এ আছে সেগুলো নিয়েই আমার এই টিউন,তবে আজ যেই Launcher গুলো দিচ্ছি সবই পেইড ভার্সন,এগুলো কিনতে হলে অবশ্যই আপনাকে ডলার গুণতে হবে,তবে বিজয়ের মাস উপলক্ষে সব দিচ্ছি ফ্রীতে।চলুন নিজ থেকে নামিয়ে নেয়া যাকঃ


1-Go Launcher Pro
Link: এখানে ক্লিক করুন


2-Smart Launcher Pro 3
Link: এখানে ক্লিক করুন


3-Xperia Launcher [Fastest Launcher]
Link: এখানে ক্লিক করুন


4-Action Launcher 3 Plus
Link: এখানে ক্লিক করুন


5-Lightning Launcher
Link: এখানে ক্লিক করুন


6-Lollipop Launcher Plus
Link: এখানে ক্লিক করুন


7-Next Launcher 3D Paid
Link: এখানে ক্লিক করুন


8-iLauncher Pro
Link: এখানে ক্লিক করুন


9-Nova Launcher Prime
Link: এখানে ক্লিক করুন


10-S Launcher [S6 Launcher]
Link: এখানে ক্লিক করুন


11-MarshMallow Launcher
Link: এখানে ক্লিক করুন


12-Windows 10 Launcher Pro
Link- এখানে ক্লিক করুন


13-Nokia Z Launcher Beta
Link: এখানে ক্লিক করুন



ডাউনলোড করতে কোন প্রকার সমস্যা হলে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুনঃ

কিভাবে ডাউনলোড  করবেন?
  1. প্রথমে Download Now  এ ক্লিক করুন
  2. ২য় পেজে click here to download এ ক্লিক করুন

3
পিসি তে ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হবে না, কিন্তু তাও কোন সমস্যা হলে ফায়ারফক্স ইউস করতে পারেন। মোবাইল থেকে ডাউনলোড করতে সমস্যা হলে uc browser থেকে ডাউনলোড করুন।  uc browser থেকে ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হবে না। চিত্রের যায়গায় ক্লিক করলেই ডাউনলোড হবে।

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন কি?

ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ কিঃ

এসএসসি কিংবা এইচএসসি এর মত জেএসসিতেও পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর দিন থেকে বাংলাদেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলো আশানুরুপ না হওয়াতে যে সকল শিক্ষার্থীদের মনে অনিশ্চয়তা থাকে তাদের জন্যে খাতা পুনঃমূল্যায়ন এর সুযোগ দিয়ে থাকে যা “ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন”, “পুনঃনিরীক্ষণ”, “খাতা চ্যালেঞ্জ”, “Re scrutiny” ইত্যাদি নামে পরিচিত। অনেকের ধারণা বোর্ড কতৃপক্ষ খাতা পুনঃমূল্যায়ন করে। কিন্তু আসলে এই প্রক্রিয়ায় বোর্ড থেকে যা করা হয় তা হল, নম্বর গণনা কিংবা কোথাও নম্বর প্রদানে ভুল ভ্রান্তি ভ্রান্তি হয়েছে কিনা সেসব বিষয় মিলিয়ে দেখা হয়।

কিভাবে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ করবেনঃ

ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করতে বোর্ড এ যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। চাইলে ঘরে বসে মোবাইল থেকেই ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন এর জন্যে আবেদন করতে পারবেন। তার জন্যে যা যা লাগবেঃ
  • টেলিটক সংযোগ সহ একটি মোবাইল ফোন। (শুধুমাত্র টেলিটক আপারেটর থেকেই ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন সম্ভব কিন্তু যাদের টেলিটক সিম নেই তাদের চিন্তার কিছু নেই, তারাও চাইলে অন্য কারো সিম ব্যবহার করে অথবা ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন এর আবেদন করে এ ধরণের কোন দোকান থেকেও আবেদন করতে পারবেন)
  • মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যানান্স (প্রতিটি বিষয়ের আবেদনের জন্যে মোবাইল থেকে আবেদন ফি বাবদ ১২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে। যে সকল বিষয়ের ২ টি পত্র রয়েছে যেমনঃ বাংলা ও ইংরেজি সে সকল বিষয়ের ক্ষেত্রে একটি বিষয় কোডের বিপরিতে ২ টি পত্রের আবেদন বলে গণ্য হবে তাই এ ক্ষেত্রে খরচ পরবে ২৫০ টাকা)
  • আপনার সাথে যোগাযোগ এর একটি ব্যক্তিগত নম্বর (বাংলাদেশের যে কোন অপারেটর এর নম্বর দিতে পারবেন)

আবেদন করতে এসএমএস করবেন যেভাবেঃ

মোবাইল এর ম্যাসেজ অপশন এ গিয়ে লিখবেন-
RSC<স্পেস>আপনার বোর্ড এর নামের প্রথম ৩ অক্ষর<স্পেস>রোল নম্বর<স্পেস>বিষয় কোড
উদাহরণঃ যশোর বোর্ড এর কোন শিক্ষার্থীর রোল নম্বর যদি হয় 259663 তার বাংলার জন্যে আবেদন করতে লিখতে হবে এভাবেঃ RSC<স্পেস>JES<স্পেস>259663<স্পেস>101
এর পর ম্যাসেজটি 16222 এই নম্বরে পাঠাতে হবে।
উল্লেখ্য আপনি একটি এসএমএস এ একসাথে একাধিক বিষয়ের জন্যে
আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কমা (,) দিয়ে বিষয়গুলোর কোড আলাদাভাবে লিখতে হবে। যেমন বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের আবেদন করতে হবে এভাবেঃ
RSC<স্পেস>JES<স্পেস>259663<স্পেস>101,107
এক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ের এবং প্রতিটি পত্রের জন্যে ১২৫ টাকা করে চার্জ করা হবে।
ফিরতি এসএমএস এ কত টাকা কেতে নেওয়া হবে জানিয়ে আপনাকে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। আপনি রাজি থাকলে এর পর ম্যাসেজ অপশন এ গিয়ে লিখবেনঃ
RSC<স্পেস>YES<স্পেস>পিন নম্বর<স্পেস>আপনার সাথে যোগাযোগের একটি নম্বর (যে কোন অপারেটর এর)
উদাহরনঃ ধরুন ফিরতি এসএমএস এ প্রদত্ত আপনার পিন নম্বর হল 12345 এবং আপনার মোবাইল নম্বর 01913XXXXXX সেক্ষেত্রে আবেদন করবেন এভাবেঃ
RSC<স্পেস>YES<স্পেস>12345<স্পেস>01913XXXXXX
ব্যাস উপরের প্রক্রিয়াগুলো যদি আপনি সঠিক ভাবে অনুসরণ করে থাকেন তাহলে সফলভাবে আপনার ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

আবেদনের সময়সীমাঃ

এই প্রক্রিয়া সাধারণত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরদিন থেকে এক সপ্তাহব্যাপী চলে। ২০১৫ সালের জেএসসি ও জেডিসি এর ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন প্রক্রিয়া ০১-০১২০১৬ তারিখ থেকে ০৭-০১-২০১৬ তারিখ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে। তাই দেরি না করে আজই আবেদন করে ফেলুন আর দূর করে ফেলুন ফলাফল নিয়ে আপনার মনের সকল অনিশ্চয়তা !

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ এর ফলাফল দেখার নিয়মঃ

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ এর ফলাফল সাধারণত পুনঃনিরীক্ষণ এর আবেদন করার সময় আপনার সাথে যোগাযোগের জন্যে যে নম্বর প্রদান করেছিলেন উক্ত নম্বরে (আপনার ফলাফল পরিবর্তন হলে) ফলাফল প্রকাশের ফর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আলাদাভাবে পিডিএফ আকারে শুধুমাত্র যাদের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে তাদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
Powered by Blogger.